Advanced Search

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ১৯৯৩

Subscribe to a Global-Regulation Premium Membership Today!

Key Benefits:

Subscribe Now for only USD$40 per month.
 

 



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ১৯৯৩



( ১৯৯৩ সনের ১৫ নং আইন )



 

[৮ জুন, ১৯৯৩]

 

 

 

     

১[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] প্রতিষ্ঠার বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷



 

যেহেতু সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, সিকিউরিটিজ মার্কেটের উন্নয়ন এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াবলী বা তদধীনে আনুষংগিক বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে

২[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-



 

 







 



সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন

 





১৷ (১) এই আইন

৩[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] আইন, ১৯৯৩ নামে অভিহিত হইবে৷

(২) ইহা ২০শে বৈশাখ, ১৪০০ মোতাবেক ৩রা মে, ১৯৯৩ তারিখে কার্যকর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷

 

 



 

 







 



সংজ্ঞা

 





২৷ (১) বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-

(ক) “কমিশন” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত

৪[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন];



৫[



(কক) “কমিশনার” অর্থ কমিশনের কমিশনার]

(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান;

(গ) “তহবিল” অর্থ ধারা ১২ এর অধীন গঠিত

৬[



কমিশনের] তহবিল;



৭[



* * *]



৮[



(ঘঘ) “ব্যক্তি” অর্থে যে কোন প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত হইবে;]

(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;



৯[



***]



১০[



* * *]

(২) এই আইনে ব্যবহৃত যে সকল শব্দ বা বক্তব্যের (এক্সপ্রেশন) সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই সেই সকল শব্দ বা বক্তব্য

১১[



কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)], Capital Issues (Continuance of Control) Act, 1947 (XXIX of 1947) এবং Securities and Exchange Ordinance, 1969 (XVII of 1969) এ যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে প্রযোজ্য হইবে৷

 

 



 

 







 



কমিশন প্রতিষ্ঠা

 





৩৷ (১) এই আইন প্রবর্তনের পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে

১২[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করিবে৷

(২) কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয়প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার পক্ষে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷

 

 



 

 







 



কমিশনের কার্যালয়, ইত্যাদি

 





৪৷ (১) কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে৷

(২) কমিশন, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে দেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷

 

 



 

 







 



কমিশনের গঠন

 





৫৷

১৩[



(১) কমিশন একজন চেয়ারম্যান ও চারজন

১৪[



কমিশনার] সমন্বয়ে এটি গঠিত হইবে৷

(২) চেয়ারম্যান ও

১৫[



কমিশনারগণ] সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বেসরকারী ব্যক্তিকে

১৬[



কমিশনার] হিসাবে নিয়োগ করিতে হইবে৷

(৩) চেয়ারম্যান ও

১৭[



কমিশনারগণ] কমিশনের সার্বক্ষণিক চেয়ারম্যান ও

১৮[



কমিশনার] হইবেন৷]

(৪) কোম্পানী ও সিকিউরিটি মার্কেট সংক্রান্ত বিষয়ে পারদর্শিতা অথবা আইন, অর্থনীতি, হিসাব রক্ষণ ও সরকারের বিবেচনায় কমিশনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান থাকা চেয়ারম্যান ও

১৯[



* * *]

২০[



কমিশনার] নিয়োগের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হইবে৷

(৫) চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন৷

(৬) চেয়ারম্যান ও

২১[



* * *]

২২[



কমিশনারগণ] তাঁহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে

২৩[



চার বৎসর] মেয়াদের জন্য স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন এবং অনুরূপ একটি মাত্র মেয়াদের জন্য পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন,

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির বয়স পঁয়ষট্টি বত্সর পূর্ণ হইলে তিনি চেয়ারম্যান বা

২৪[



কমিশনার] পদে নিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না বা চেয়ারম্যান বা

২৫[



কমিশনার] পদে বহাল থাকিবেন না৷

(৭) চেয়ারম্যান ও যে কোন

২৬[



* * *]

২৭[



কমিশনার] তাঁহাদের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে যে কোন সময় সরকারের উদ্দেশ্যে অন্যুন তিন মাসের অগ্রিম নোটিশ প্রদান করিয়া স্ব স্ব পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক পদত্যাগ গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান বা ক্ষেত্রমত, সার্বক্ষণিক

২৮[



কমিশনার] স্ব স্ব কার্য চালাইয়া যাইবেন৷

 

 



 

 







 



চেয়ারম্যান, ইত্যাদির অযোগ্যতা

 





৬৷ (১) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা

২৯[



* * *]

৩০[



কমিশনার] নিযুক্ত হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-

(ক) তিনি কোন আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন;

(খ) তাহাকে কোন আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করে;

(গ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন;

(ঘ) সরকারের বিবেচনায় তিনি তাহার পদমর্যাদার এইরূপ অপব্যবহার করিয়া থাকেন যাহাতে তাহার উক্ত পদে বহাল থাকা জনস্বার্থের পরিপন্থী;

(ঙ) তিনি কোন কোম্পানী বা সংস্থায় পরিচালক কিংবা কর্মকর্তা পদে নিযুক্ত হন৷

(২) চেয়ারম্যান বা কোন

৩১[



* * *]

৩২[



কমিশনারকে] কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ না দিয়া উপ-ধারা (১) এর দফা (ঘ) ও (ঙ) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না৷

 

 



 

 







 



কমিশনের সভা

 





৭৷ (১) বিধি দ্বারা নির্ধারিত সময় ও স্থানে কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং তত্পূর্বে চেয়ারম্যান কর্তৃক ধার্য্যকৃত সময় ও স্থানে অনুরূপ সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷



৩৩[



(২) তিনজন

৩৪[



কমিশনার] সমন্বয়ে কমিশনের সভার কোরাম গঠিত হইবে৷

(৩) চেয়ারম্যান কমিশনের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে, উপস্থিত

৩৫[



কমিশনারবৃন্দ] কর্তৃক নির্বাচিত কোন

৩৬[



কমিশনার] সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷]

(৪) কমিশনের সভায় উপস্থিত

৩৭[



কমিশনারদের] সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷

(৫) শুধুমাত্র কোন

৩৮[



কমিশনারপদে] শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কমিশনের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কিত কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷

 

 



 

 







 



কমিশনের কার্যাবলী

 





৮৷ (১) এই আইনের বিধান এবং বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে, সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ, সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং পুঁজি ও সিকিউরিটি বাজারের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করাই হইবে কমিশনের দায়িত্ব ও কার্যাবলী৷

(২) বিশেষ করিয়া এবং উপরিউক্ত বিধানাবলীর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ ব্যবস্থার মধ্যে নিম্্নরূপ যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা:-

(ক) ষ্টক এক্সচেঞ্জ বা কোন সিকিউরিটি বাজারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ;



৩৯[



(খ) স্টক ব্রোকার, সাব ব্রোকার, শেয়ার হস্তান্তরকারী প্রতিনিধি, ইস্যুর ব্যাংকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ইস্যুর নিবন্ধক, ইস্যুর ম্যানেজার, অবলিখক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, বিনিয়োগ উপদেষ্টা, ট্রাষ্ট দলিলের ট্রাষ্টি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানী, হেফাজতকারী, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানী এবং সিকিউরিটি মার্কেটের সংগে সম্পৃক্ত হইতে পারে এইরূপ অন্যান্য মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের কার্য নিরূপণ ও নিয়ন্ত্রণ;]

(গ) মিউচুয়্যাল ফান্ডসহ যে কোন ধরনের যৌথ বিনিয়োগ পদ্ধতির নিবন্ধন, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা;

(ঘ) কর্তৃত্ব প্রাপ্ত আত্ম-নিয়ামক সংগঠনসমূহের উন্নয়ন, পরিবীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ;

(ঙ) সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারণামূলক এবং অসাধু ব্যবসা বন্ধকরণ;

(চ) বিনিয়োগ সংক্রান্ত শিক্ষার উন্নয়ন এবং সিকিউরিটি বাজারের সকল মাধ্যমের প্রশিক্ষণ;

(ছ) সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ;

(জ) কোম্পানীর শেয়ার বা স্টক ও কর্তৃত্ব গ্রহণ এবং কোম্পানীর অধিগ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ;

(ঝ) সিকিউরিটি ইস্যুকারী, ষ্টক এক্সচেঞ্জ এবং উহাদের মাধ্যমে এবং সিকিউরিটি বাজারের আত্ম-নিয়ামক সংগঠনের নিকট হইতে তথ্য তলব, উহাদের পরিদর্শন, তদন্ত ও অডিট;



৪০[



(ঝঝ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিতক্রমে, কোন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্যান্য কর্তৃপক্ষ হইতে সিকিউরিটিজ লেনদেন সম্পর্কিত তদন্তাধীন ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য ও রেকর্ড তলব;

(ঝঝঝ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, দেশী ও বিদেশী কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সহিত সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময় চুক্তি সম্পাদন;]

(ঞ) সিকিউরিটি ইস্যুকারী আর্থিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত কর্মসূচী সংকলন, বিশ্লেষণ ও প্রকাশন;

(ট) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ফিস বা অন্যান্য খরচ ধার্য্য;

(ঠ) উপরিউক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের প্রয়োজনে গবেষণা পরিচালনা এবং তথ্য ও উপাত্ত প্রকাশ করা;



৪১[



(ঠঠ) ডেরিভেটিভসহ সিকিউরিটিজ লেনদেন সংক্রান্ত সেটেলমেন্টের জন্য স্থাপিত ক্লিয়ারিং কর্পোরেশনের কার্য নিয়ন্ত্রণ;]

(ড) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে

৪২[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন ও কর্তব্য পালন৷

 

 



 

 







 



কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ

 





৯৷ (১) সরকার কর্তৃক

৪৩[



অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামোর ভিত্তিতে], কমিশন উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী

৪৪[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷



৪৫[



(৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে প্রদেয় বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া উপ-ধারা (২) এর অধীন কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি সম্পর্কিত চাকুরীর শর্তাবলী নির্ধারণ করা যাইবে।]

 

 



 

 







 



পরামর্শক বা উপদেষ্টা নিয়োগ

 







৪৬[



৯ক। কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, তদ্‌কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত ও মেয়াদে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক পরামর্শক বা উপদেষ্টা নিয়োগ করিতে পারিবে।]

 

 



 

 







 



নিবন্ধন সার্টিফিকেট

 





১০৷

৪৭[



(১) কোন স্টক ব্রোকার, সাব ব্রোকার, শেয়ার হস্তান্তরকারী প্রতিনিধি, ইস্যুর ব্যাংকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ইস্যুর নিবন্ধক, ইস্যুর ম্যানেজার, অবলিখক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার, বিনিয়োগ উপদেষ্টা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ট্রাষ্ট দলিলের ট্রাষ্টি, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানী, হেফাজতকারী, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানী এবং সিকিউরিটি মার্কেটের সংগে সম্পৃক্ত হইতে পারে অনুরূপ অন্যান্য মাধ্যমে কমিশনের নিকট হইতে প্রাপ্ত, নিবন্ধিকরণ সার্টিফিকেটের শর্তাবলীর অধীন ব্যতিরেকে কোন সিকিউরিটির বিক্রয় বা কারবার করিবে না৷]

(২) নিবন্ধীকরণের আবেদন

৪৮[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এবং নির্ধারিত ফি প্রদান করিয়া দাখিল করিতে হইবে৷

(৩) কমিশন কোন নিবন্ধন সার্টিফিকেট

৪৯[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্থগিত বা বাতিল করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া এই উপ-ধারার অধীন কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না৷

 

 



 

 







 



Act XXIX of 1947 এবং Ord. XVII of 1969 এর অধীন দায় ও দায়িত্ব, ইত্যাদি

 





১১৷ কমিশন প্রতিষ্ঠিত হইবার সংগে সংগে-

(ক) এই আইন ব্যতীত কোন আইন বা কোন চুক্তি, ইনষ্ট্রুমেন্ট ও দলিলে কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যুজ এর উল্লেখ থাকিলে তাহা “কমিশন” শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) কন্ট্রোলার অব ক্যাপিটাল ইস্যুজ এর কার্যালয়, যদি থাকে, বিলুপ্ত হইবে;

(গ) Capital Issues (Continuance of Control) Act, 1947 (XXIX of 1947) এবং Securities and Exchange Ordinance, 1969 (XVII of 1969), অতঃপর উক্ত আইনদ্বয় বলিয়া উল্লিখিত, এর অধীন সরকারের সকল দায় ও দায়িত্ব কমিশনের দায় ও দায়িত্ব হইবে;

(ঘ) উক্ত আইনদ্বয়ের অধীন সরকার কর্তৃক ও সরকারের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি ও বিষয় কমিশনের সহিত সম্পাদিত চুক্তি ও বিষয় বলিয়া গণ্য হইবে;

(ঙ) উক্ত আইনদ্বয়ের অধীন সরকার কর্তৃক বা সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা কমিশন কর্তৃক বা কমিশনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বা আইনগত ব্যবস্থা বলিয়া গণ্য হইবে;

(চ) উক্ত আইনদ্বয়ের বিধান অনুযায়ী কোন কিছু সরকারের নিকট অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা উক্ত আইনদ্বয়ের বিধান অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক নিষ্পন্ন হইবে৷

 

 



 

 







 



কমিশনের তহবিল

 





১২৷ (১)

৫০[



বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] তহবিল নামে কমিশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং এই তহবিলে সরকারের অনুদান, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ জমা হইবে৷

(২) তহবিলের অর্থ কমিশনের নামে কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসীলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷

(৩) তহবিল হইতে কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা প্রদান করা হইবে এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷



৫১[



(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকারি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হইতে প্রাপ্ত অনুদান ব্যতীত কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত অর্থ কমিশন স্বীয় প্রয়োজনে ব্যয় করিতে পারিবে।]

 

 



 

 







 



বার্ষিক বাজেট বিবরণী

 





১৩৷ কমিশন প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে৷

 

 



 

 







 



হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা

 





১৪৷ (১) কমিশন যথাযথভাবে কমিশনের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷

(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর কমিশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কমিশনের নিকট পেশ করিবেন এবং সরকার উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবে৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কমিশনের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কমিশনের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷

 

 



 

 







 



প্রতিবেদন, ইত্যাদি

 





১৫৷ (১) সরকার প্রয়োজনমত কমিশনের নিকট হইতে কমিশনের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং কমিশন উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷

(২) প্রতি অর্থ বত্সর সমাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে কমিশন তত্কর্তৃক পূর্ববর্তী বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার যতশীঘ্র সম্ভব উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবে৷

 

 



 

 







 



নির্দেশ প্রদানের সরকারের ক্ষমতা

 







৫২[



১৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কমিশনকে কোন

৫৩[



নীতিগত বিষয়ে বিশেষ সময় সময় নির্দেশ] প্রদান করিতে পারিবে এবং কমিশন উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন নির্দেশ প্রদানের পূর্বে সরকার কমিশনকে তত্সম্পর্কে উহার মতামত প্রদান করিবার জন্য সুযোগ প্রদান করিবে৷]

 

 



 

 







 



ক্ষমতা অর্পণ

 





১৭৷

৫৪[



বিধি] প্রণয়নের ক্ষমতা ব্যতীত কমিশন উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে চেয়ারম্যান,

৫৫[



* * *] কোন

৫৬[



কমিশনার] বা কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷

 

 



 

 







 



অনুসন্ধান বা তদন্ত অনুষ্ঠান

 







৫৭[



১৭ক৷ (১) কমিশন ধারা ১০ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে অনুসন্ধান বা তদন্ত করিতে পারিবে৷

(২) কমিশনের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত কমিটি উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অনুসন্ধান বা তদন্ত করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ তদন্তের পর কমিশনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তিকে অনুসন্ধানাধীন বা তদন্তাধীন ব্যক্তি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী ও দলিলপত্র প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে৷

 

 



 

 







 



কতিপয় ক্ষেত্রে কমিশনের দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা

 





১৭খ৷ ধারা ১৭ক এর অধীন প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনের উপর শুনানীর উদ্দেশ্যে কমিশন নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহে সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে, যে সকল ক্ষমতা কোন দেওয়ানী আদালত Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908) এর অধীন প্রয়োগ করিতে পারে, যথা:-

(ক) কমিশনে উপস্থিত হইবার জন্য কোন ব্যক্তির উপর সমন জারী এবং তাহাকে কমিশনে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ করাইয়া তাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা;

(খ) কোন তথ্য সরবরাহ বা প্রয়োজনীয় কোন দলিল দাখিল করা৷]

 

 



 

 







 



শাস্তি

 





১৮৷

৫৮[



(১)] যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধান লংঘন করেন বা লংঘন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন বা লংঘনে প্ররোচনা ও সহায়তা করেন তাহা হইলে তিনি অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড বা

৫৯[



অন্যুন পাঁচ লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷



৬০[



(২) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা বিধি বা প্রবিধানের অধীন-

(ক) প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হন; বা

(খ) প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হন; বা

(গ) কোন অনুসন্ধান বা তদন্তের সময় অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হন; তাহা হইলে কমিশন উক্ত ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া লিখিত আদেশ দ্বারা সতর্ক করিয়া দিতে পারিবে বা

৬১[



অন্যুন এক লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপ ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে অনুরূপ অব্যাহত থাকাকালীন প্রতিদিনের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করিতে পারিবে৷



৬২[



(২ক) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন কমিশন কর্তৃক আরোপিত অর্থদণ্ডের ১৫ (পনের) শতাংশ অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা প্রদান না করিয়া উক্তরূপ দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ধারা ২১ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন আপীল বা উপ-ধারা (৫) এর অধীন পুনর্বিবেচনা বা কোন আদালতে কোন মামলা বা আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না।

(২খ) এই আইনের অধীনে কমিশন কর্তৃক আরোপিত অর্থদণ্ড অনাদায়ী হইলে উহা বকেয়া ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে।]

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অপরাধের জন্য কোন আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না৷]

 

 



 

 







 



অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ

 





১৯৷ (১) সেসনস্‌ আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালতে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচার করা যাইবে না৷

(২) কমিশন বা কমিশন হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করা যাইবে না৷

 

 



 

 







 



কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন

 





২০৷ এই আইনের কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন; যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে এবং উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷

 

 



 

 







 



আপীল

 





২১৷ (১)

৬৩[



এই আইন বা বিধি] অনুসারে কোন

৬৪[



কমিশনার] বা কর্মকর্তার আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি

৬৫[



বিধি দ্বারা] নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং এই আপীলের উপর কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷

(২) নির্ধারিত সময়ের পর দায়েরকৃত কোন আপীল গ্রহণযোগ্য হইবে না তবে আপীলকারী যদি এই মর্মে কমিশনকে সন্তুষ্ট করিতে পারেন যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপীল দাখিল না করার যুক্তিসংগত কারণ ছিল, সে ক্ষেত্রে উক্ত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর দাখিলকৃত আপীল কমিশন গ্রহণ করিতে পারিবে৷

(৩) এই ধারার অধীন আপীল

৬৬[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত ফরমে এবং তদ্বারা নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া দাখিল করিতে হইবে এবং যে আদেশের বিরুদ্ধে উহা দাখিল করা হইতেছে উহার কপি আপীলের সংগে সংযোজিত করিতে হইবে৷

(৪)

৬৭[



বিধি] দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রত্যেক আপীল নিষ্পত্তি হইবে; এবং আপীলকারীকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া কোন আপীল নিষ্পত্তি করা যাইবে না৷

(৫) কমিশন নিজ উদ্যোগে অথবা কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মীমাংসিত বিষয় পুনর্বিবেচনা করিতে পারিবে এবং এ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷

 

 



 

 







 



সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ

 





২২৷

৬৮[



এই আইন বা বিধি] এর অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী, কমিশনের কোন

৬৯[



কমিশনার], কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷

 

 



 

 







 



অব্যাহতি

 





২৩৷ কমিশন প্রয়োজন মনে করিলে বা জনসাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সমীচীন ও প্রয়োজনীয় মনে হইলে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সিকিউরিটি ক্রয় বা বিক্রয় সম্পর্কিত বা তত্ব্যাপারে অন্য কোন বিষয়ে এই আইনের অধীন ১০(১) ধারার বিধান হইতে যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থাকে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷

 

 



 

 







 



বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

 







৭০[



২৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রকাশ করার পূর্বে প্রস্তাবিত বিধির উপর সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করিয়া দেশের বহুল প্রচারিত অন্যুন দুইটি বাংলা এবং একটি ইংরেজী দৈনিক পত্রিকায় উহা প্রকাশ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি দাখিল করার জন্য অন্যুন দুই সপ্তাহ সময় দিতে হইবে৷

(২) কোন বিশেষ ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করা জনস্বার্থে যথাযথ হইবে না বলিয়া বিবেচিত হইলে, কমিশন, সরকারের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সংশ্লিষ্ট বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, চাকুরীর শর্তাবলী সংক্রান্ত কোন বিধি সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে প্রণয়ন বা সংশোধন করা যাইবে না৷]

 

 



 

 







 



[বিলুপ্ত]

 





২৫৷

৭১[



প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা- সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ২৩ নং আইন) এর ১৫ ধারা কর্তৃক বিলুপ্ত৷]

 

 



 

 







 



জটিলতার নিরসনের ক্ষমতা

 





২৬৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার উক্ত অসুবিধা দূরীকরণার্থে, আদেশ দ্বারা যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে:

তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন কার্যকর হওয়ার পাঁচ বছর পর এই ধারার অধীনে কোন আদেশ প্রদান করা যাইবে না৷

(২) এই ধারার অধীন প্রদত্ত সকল আদেশ সরকার যতশীঘ্র সম্ভব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করিবে৷

 

 



 

 







 



ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ, ইত্যাদি

 







৭২[



২৬ক। (১) সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১২ কার্যকর হইবার পর সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।

(২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।]

 

 



 

 







 



রহিতকরণ ও হেফাজত

 





২৭৷ (১) সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ, ১৯৯৩ (অধ্যাদেশ নং ৩, ১৯৯৩) এতদ্বারা রহিত করা হইল৷

(২) অনুরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও রহিত অধ্যাদেশের অধীন কৃত কোন কাজকর্ম বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷